ফৌজদারী নালিশা আরজি ড্রাফটিং এর ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলী মনে রাখা খুবই জরুরী। নালিশা আরজিতে নিম্নলিখিত বিষয় গুলি পর্যায়ক্রমে লিখতে হয়। যেমনঃ-
১। শিরোনাম অংশ ঃ- এই অংশে আদালতের নাম উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
২। দরখাস্থকারীর / ফরিয়াদির বিস্থারিত পরিচয়ঃ- মামলার বাদীকে কোর্টে এসে মামলা করলে তাকে ফরিয়াদি বা দরখাস্থকারী বলা হয়ে থাকে। এই অংশে ফরিয়াদীর নাম, বয়স, পিতা বা স্বামীর নাম, গ্রাম, ডাক, ইউনিয়ন, থানা ও জেলার নাম উল্লেখ করতে হয়।
৩। অভিযুক্তগণের বিস্থারিত পরিচয়ঃ- সি আর মামলার ক্ষেত্রে আসামী পক্ষকে অভিযুক্তপক্ষ বলা হয় থাকে। এই অংশে অভিযুক্তগণের নাম, বয়স, পিতার নাম, গ্রাম,ডাক,ইউপি নাম, থানা ও জেলার নাম উল্লেখ করতে হবে।
৪। ঘঠনার তারিখ ঃ- মামলার ক্ষেত্রে এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে তারিখে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার বিস্থারিত বর্ণনা দিতে হয়।
৫। সময়ঃ- ঘঠনার সময় ও বিস্থারিত বর্ণনা করতে হবে।
৬। ঘঠনার স্থানঃ- অপরাধ কোন জায়গায় সংঘঠিত হয়েছে তার বিস্থারিত বর্ণনা উল্লেখ করতে হবে।
৭। ধারাঃ- দন্ডবিধির কোন কোন ধারায় অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে তার বর্ণনা দিতে হবে।
৮। সাক্ষীগণের পরিচয়ঃ - অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার সময় উপস্থিত কে কে ছিলেন তাদের নাম,ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৯। এই পর্যায়ে আপনি ফিয়াদীর মূল বক্তব্য আইনের ভাষায় বর্ণনা দিতে হবে।
১০। নালিশা আরজির সমর্থনে ডকুমেন্টারি কোন কাগজ যেমন, এম সি, কোন ডিড থাকলে তার মূলকপি বা ফটোকপিসহ অন্যান্য কগজাদি থাকলে তা ফিরিস্থি সহকারে আদালতে দাখিল করতে হবে।
নালশা আরজির, ফিরিস্থি ও ওকালতনামা দাখিলের ক্ষেত্রে সরকারকে ৫০/- কোর্ট ফি দিতে হবে।
জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ: ৩৫৩, ৩৫৬, ৩৬৪, ৩৬৪ক, ৩৬৫, ৩৬৬ক, ৩৬৬খ-৩৬৯, ৩৭১-৩৭৩, ৩৭৬-৩৮২, ৩৮৫-৩৮৭, ৩৯২-৪০২, ৪০৬-৪১৪, ৪৩৬-৪৪০, ৪৪৯, ৪৫০, ৪৫২-৪৬০, ৪৬৬-৪৬৮, ৪৮৯ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯ঘ, ৪৯৩, ৫০৫, ৫০৫ক, ৫১১।
Comments
Post a Comment