Skip to main content

কৃষি আয় (আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ২৬ অনুযায়ী)

কৃষি আয় (আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা ২৬ অনুযায়ী) কৃষি খাতে আয়ের জন্য হিসাবের খাতাপত্র না রাখা হলে নীচে দেয়া উপায়ে কৃষি আয় হিসাব করতে হবেঃ ধরা যাক জনাব রফিকের কৃষি জমির পরিমাণ ২ একর। একর প্রতি ধান উৎপাদনের পরিমাণ ধরা যাক ৪৫ মণ। প্রতিমণ ধানের বাজারমূল্য ৮০০/- টাকা হলে নীট করযোগ্য কৃষি আয়ের পরিমাণ হবেঃ ২ একর * ৪৫ মণ * বাজার মূল্য ৮০০/- = ৭২,০০০/- টাকা বাদঃ উৎপাদন ব্যয় ৬০% = ৪৩,২০০/- টাকা নীট কৃষি আয় = ২৮,৮০০/- টাকা। কোন করদাতার আয়ের উৎস যদি শুধুমাত্র কৃষি খাত হয়ে থাকে অর্থাৎ যদি কোন করদাতার কৃষি খাতের আয় ব্যতীত আর কোনো আয় না থাকে তা হলে তার জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা হবে- (ক) ৬৫ বছরের নীচে পুরুষদের বেলায়ঃ (২,২০,০০০ + ২,০০,০০০) = ৪,২০,০০০ টাকা। (খ) মহিলা বা ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের পুুরুষদের বেলায়ঃ (২,৭৫,০০০ + ২,০০,০০০) = ৪,৭৫,০০০ টাকা। (গ) প্রতিবন্ধী করদাতার বেলায়ঃ (৩,৫০,০০০ + ২,০০,০০০) = ৫,৫০,০০০ টাকা। (ঘ) গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বেলায়ঃ (৪,০০,০০০ + ২,০০,০০০) = ৬,০০,০০০ টাকা।

Comments

Popular posts from this blog

জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ

জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ: ৩৫৩, ৩৫৬, ৩৬৪, ৩৬৪ক, ৩৬৫, ৩৬৬ক, ৩৬৬খ-৩৬৯, ৩৭১-৩৭৩, ৩৭৬-৩৮২, ৩৮৫-৩৮৭, ৩৯২-৪০২, ৪০৬-৪১৪, ৪৩৬-৪৪০, ৪৪৯, ৪৫০, ৪৫২-৪৬০, ৪৬৬-৪৬৮, ৪৮৯ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯ঘ, ৪৯৩, ৫০৫, ৫০৫ক, ৫১১।

সংবিধিবদ্ধ আইন - Jurisprudence (Class Note)

প্রশ্ন: সংবিধিবদ্ধ আইন কি? ইহা বলা কি সঠিক হবে যে, ফৌজদারী কার্যবিধি সম্পূর্ণরূপে পদ্ধতিগত আইন? বিচারিক পদ্ধতির সাধারণ উপাদানসমূহ ব্যাখ্যা কর। উত্তর: সংবিধিবদ্ধ আইন: আধুনিক জগতে আইন প্রণয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনগত বিধিবিধান জারী করাকে আইন প্রণয়ন বলে। ব্যাপক অর্থে আইন সৃস্টির সকল পদ্ধতিই আইন প্রণয়নের অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আইনসভা কর্তৃক সৃস্ট আইনকে আইন বলা হয়। এরূপে প্রণীত আইনকে বিধিবদ্ধ আইন বা সংবিধিবদ্ধ আইন বলে। এই বিধিবদ্ধ আইন রাস্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী সংস্থা প্রণীত হয় এবং উহার পরিবর্তন, সংশোধন, বাতিল করার ক্ষমতা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ বা আইন প্রণয়নকারী সংস্থার নাই। তাই বর্তমান যুগে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হিসাবে আইন সভাই সংবিধিবদ্ধ আইন প্রণয়ন করে। ফৌজদারী কার্যবিধি সম্পূর্ণরূপে পদ্ধতিগত আইন: পদ্ধতিগত আইন হল ঐ সকল আইন ও বিধি যার দ্বারা স্থায়ী আইন সমূহ বাস্তবে প্রয়োগ ও কার্যকর হয়। অর্থাৎ জনসাধারণ ও সরকারের অধিকার ও কর্তব্য কার্যকর হয়। ফৌজদারী কার্যবিধি আইন হল সেই আইন যার দ্বারা স্থায়ী আইনসমূহ প্রয়োগ হয় এবং জনসাধার...

মূল আইন ও পদ্ধতিগত আইন - Jurisprudence (Class Note)

প্রশ্ন : মূল আইন ও পদ্ধতিগত আইনের সংঙ্গা দাও। এদের মধ্যে পার্থক্য দেখাও। দেওয়ানী কার্যবিধি কি নিছক পদ্ধতিগত আইন - যুক্তি দেখাও। দেওয়ানী বিচার ও ফৌজদারী বিচারের মধ্যে পার্থক্য দেখাও। উত্তর: মূল আইন : যে আইন মানুষের অধিকার নিরুপণ করে তাকে মূল আইন বলে। যেমন - দন্ডবিধি আইন, চুক্তি আইন, সুনির্দস্ট প্রতিকার আইন। পদ্ধতিগত আইন: যে আইন অধিকার প্রয়োগ করে তাকে পদ্ধতিগত আইন বলে। যেমন - ফৌজদারী আইন। পার্থক্য : ১. কোন কাজটি অন্যায় বা অবৈধ তা নির্ধারণ করে মূল আইন । পক্ষান্তরে, কিভাবে সেটি অন্যায় তা প্রমাণ করে পদ্ধতিগত আইন। ২. কোন নির্দিষ্ট অপরাধ আর্থিক দন্ডে দন্ডনীয় না কারাদন্ডে দন্ডনীয় তা মূল আইনগত প্রশ্ন। পক্ষান্তরে, সংক্ষিপ্ত বিচারের অভিযোগ এনে নিয়মিত বিচারে দন্ড দেয়া হবে কিনা তা পদ্ধতিগত আইনের প্রশ্ন। ৩. মৃত্যুদন্ডের বিধান বিলোপ করা হলে তা মূল আইনের পরিবর্তন । পক্ষান্তরে, ঋণের জন্য কারাদন্ডের বিধান বিলোপ করা হলে তা পদ্ধতিগত আইনের পরিবর্তন । “দেওয়ানী কার্যবিধি একটি নিছক পদ্ধতিগত আইন” - দেওয়ানী কার্যবিধি মূল আইন ও পদ্ধতিগত আইনের সংমিশ্রণ। দেওয়ানী কার্যবিধিতে ১৫৫টি ধারা, দ্বিতীয়ভাগে ৫০টি ...