Skip to main content

মহিলা শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে আইনের বিধানাবল

মহিলা শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে আইনের বিধানাবলীঃ- ১। নৈশ শিফ্টে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। ২। ধৌত করণের সুবিধা থাকতে হবে। ৩। মহিলাদের সন্তানদের জন্য আলাদা কক্ষ থাকতে হবে। ৪। চলমান যন্ত্রে কাজ করার সুবিধা থাকতে হবে। ৫। তুলা ধুনা যন্ত্রে কাজ করতে দেওয়া যাবে না। ৬। ভারি মালামাল বহন করতে দেওয়া যাবে না। মহিলা শ্রমিকদের নিরাপত্তা ঃ ১। শ্রম আইনের ১০৯ ধারায় বলা হয়ছে যে, মহিলা শ্রমিক কে তার অনুমতি ছাড়া রাত দশটা হতে ভুর ছয়টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কাজ করানো যাবেনা। ২। শ্রম আইনের ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোন প্রতিস্টানে যন্ত্রপাতি চালু অবস্থায় তা পরিস্কারের জন্য, এতে তেল প্রদানের জন্য বা একে সুবিন্যাস্ত করার জন্য বা উক্ত চালু যন্ত্রপাতির ঘূর্ণায়মান অংশগুলির মাঝখানে অথবা স্থির এবং ঘূর্ণায়মান অংশগুলির মাঝখানে কোন মহিলা শ্রমিক কে কাজ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। ৩। শ্রম আইনের ৪২ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোন মহিলাকে ভূগর্ভে বা পানির নিচে কোন কাজে নিয়োগ করা যাবে না। মহিলা শ্রমিকদের কর্মঘন্টাঃ- ১। কোন অবস্থাতেই মহিলা শ্রমিককে দৈনিক নয় ঘন্টার বেশি সময় কাজ করানো যাবেনা। ২। নৈশ শিফ্টে তাদেরকে কাজ করানো যাবেনা। ৩। সকাল সাতটা হতে রাত আটটার মধ্যে তাদের কাজের সময় নির্ধারণ করতে হবে। ৪। কোন মহিলা শ্রমিককে তার বিনা অনুমতিতে রাত দশটা হতে ভুর ছয়টার মধ্যে কোন কাজ করতে দেওয়া যাবে না। প্রসূতি ছুটিতে থাকা কালিন কোন মহিলা শ্রমিককে বরখাস্থ করা যায় কি না ঃ- শ্রম আইনের ৫০ ধারায় বলা হয়ছে যে, যদি কোন মহিলার সন্তান প্রসবের পূ্র্ববর্তী ছয় মাস এবং সন্তান প্রসবের পরবর্তী আট সপ্তাহ মেয়াদের মধ্যে তাকে চাকরি হতে ডিসচার্জ, বরখাস্থ বা অপসারণের জন্য বা অন্যভাবে চাকুরি অবসানের জন্য মালিক কোন নুটিশ বা আদেশ দেন এবং উক্তরুপ নোটিশ বা আদেশ প্রদানের যথেষ্ট কোন কারণ না থাকে তাহলে, এই নোটিশ বা আদেশ প্রদান করা হলে, এই অধ্যয়ের অধিনে সংশ্লিষ্ট মহিলা যে প্রসূতি কল্যাণ পাবার অধিকারী হতেন তা থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন না। শাস্থিঃ- শ্রম আইন ২০০৬ সালের ২৮৪ ধারার বিধান মতে কেউ যদি মহিলা শ্রমিক নিয়োগ দেয় তাহলে ঐ ব্যক্তি বা প্রতিস্টানের ৫০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন।

Comments

Popular posts from this blog

জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ

জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা সমূহ: ৩৫৩, ৩৫৬, ৩৬৪, ৩৬৪ক, ৩৬৫, ৩৬৬ক, ৩৬৬খ-৩৬৯, ৩৭১-৩৭৩, ৩৭৬-৩৮২, ৩৮৫-৩৮৭, ৩৯২-৪০২, ৪০৬-৪১৪, ৪৩৬-৪৪০, ৪৪৯, ৪৫০, ৪৫২-৪৬০, ৪৬৬-৪৬৮, ৪৮৯ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯ঘ, ৪৯৩, ৫০৫, ৫০৫ক, ৫১১।

সংবিধিবদ্ধ আইন - Jurisprudence (Class Note)

প্রশ্ন: সংবিধিবদ্ধ আইন কি? ইহা বলা কি সঠিক হবে যে, ফৌজদারী কার্যবিধি সম্পূর্ণরূপে পদ্ধতিগত আইন? বিচারিক পদ্ধতির সাধারণ উপাদানসমূহ ব্যাখ্যা কর। উত্তর: সংবিধিবদ্ধ আইন: আধুনিক জগতে আইন প্রণয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনগত বিধিবিধান জারী করাকে আইন প্রণয়ন বলে। ব্যাপক অর্থে আইন সৃস্টির সকল পদ্ধতিই আইন প্রণয়নের অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আইনসভা কর্তৃক সৃস্ট আইনকে আইন বলা হয়। এরূপে প্রণীত আইনকে বিধিবদ্ধ আইন বা সংবিধিবদ্ধ আইন বলে। এই বিধিবদ্ধ আইন রাস্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী সংস্থা প্রণীত হয় এবং উহার পরিবর্তন, সংশোধন, বাতিল করার ক্ষমতা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ বা আইন প্রণয়নকারী সংস্থার নাই। তাই বর্তমান যুগে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হিসাবে আইন সভাই সংবিধিবদ্ধ আইন প্রণয়ন করে। ফৌজদারী কার্যবিধি সম্পূর্ণরূপে পদ্ধতিগত আইন: পদ্ধতিগত আইন হল ঐ সকল আইন ও বিধি যার দ্বারা স্থায়ী আইন সমূহ বাস্তবে প্রয়োগ ও কার্যকর হয়। অর্থাৎ জনসাধারণ ও সরকারের অধিকার ও কর্তব্য কার্যকর হয়। ফৌজদারী কার্যবিধি আইন হল সেই আইন যার দ্বারা স্থায়ী আইনসমূহ প্রয়োগ হয় এবং জনসাধার...

মূল আইন ও পদ্ধতিগত আইন - Jurisprudence (Class Note)

প্রশ্ন : মূল আইন ও পদ্ধতিগত আইনের সংঙ্গা দাও। এদের মধ্যে পার্থক্য দেখাও। দেওয়ানী কার্যবিধি কি নিছক পদ্ধতিগত আইন - যুক্তি দেখাও। দেওয়ানী বিচার ও ফৌজদারী বিচারের মধ্যে পার্থক্য দেখাও। উত্তর: মূল আইন : যে আইন মানুষের অধিকার নিরুপণ করে তাকে মূল আইন বলে। যেমন - দন্ডবিধি আইন, চুক্তি আইন, সুনির্দস্ট প্রতিকার আইন। পদ্ধতিগত আইন: যে আইন অধিকার প্রয়োগ করে তাকে পদ্ধতিগত আইন বলে। যেমন - ফৌজদারী আইন। পার্থক্য : ১. কোন কাজটি অন্যায় বা অবৈধ তা নির্ধারণ করে মূল আইন । পক্ষান্তরে, কিভাবে সেটি অন্যায় তা প্রমাণ করে পদ্ধতিগত আইন। ২. কোন নির্দিষ্ট অপরাধ আর্থিক দন্ডে দন্ডনীয় না কারাদন্ডে দন্ডনীয় তা মূল আইনগত প্রশ্ন। পক্ষান্তরে, সংক্ষিপ্ত বিচারের অভিযোগ এনে নিয়মিত বিচারে দন্ড দেয়া হবে কিনা তা পদ্ধতিগত আইনের প্রশ্ন। ৩. মৃত্যুদন্ডের বিধান বিলোপ করা হলে তা মূল আইনের পরিবর্তন । পক্ষান্তরে, ঋণের জন্য কারাদন্ডের বিধান বিলোপ করা হলে তা পদ্ধতিগত আইনের পরিবর্তন । “দেওয়ানী কার্যবিধি একটি নিছক পদ্ধতিগত আইন” - দেওয়ানী কার্যবিধি মূল আইন ও পদ্ধতিগত আইনের সংমিশ্রণ। দেওয়ানী কার্যবিধিতে ১৫৫টি ধারা, দ্বিতীয়ভাগে ৫০টি ...